October 13, 2025 10:00 pm

Writer, Politician, Freethinker, Activist

October 13, 2025

Writer, Politician, Freethinker, Activist

সুযোগ থাকলেও নেপাল কেন শিল্প কারখানা শুন্য?

Spread the love

গৌতম বুদ্ধের জন্মভূমি নেপাল কেন অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে? কেন অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে হিমালয় কন্যা নেপাল? এ প্রশ্নটা বেশ কয়েক মাস ধরে আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশ কেন ৫৪ বছরে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়নি তা সারা পৃথিবী জানে। কেন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে তাও আজকাল পৃথিবী জেনে গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মৌলবাদী অপশক্তির উত্থানে জিডিপি সাত থেকে তিনে নেমে গেছে! রাজপুত্র বুদ্ধের জন্মভূমি নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো। নেপালে নারীর প্রতি যে সম্মান দেখানো হয়৷ এবং যতটুকু নারী স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত। তা বাংলাদেশে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।

গৌতম বুদ্ধের জন্মভূমি নেপাল ?
গৌতম বুদ্ধের জন্মভূমি নেপাল ?

এখানে মৌলবাদী শক্তি খুব দুর্বল। আমি অবাক হয়ে গেছি এদের কুকুরের প্রতি ভালোবাসা,দয়া মায়া দেখে! নারী প্রতি সন্মান ও প্রানীর প্রতি দরদ দেখলেই একটি দেশের সামাজিক বৈশিষ্ট অনুমান করা যায়। নেপালিদের সমাজে,হিংসা বিদ্বেষ, পরশ্রিকাতরতা তুলনামূলক অনেক কম। উল্লেখ্য আমি নেপালের সাথে যত তুলনা করছি তা এ উপমহাদেশের দেশগুলোর সাথে। নেপাল একটি ছোট দেশ। ছোট অর্থনীতির দেশ। আয়তনে বাংলাদেশর চেয়ে কিছুটা কম। কিন্তু জনসংখ্যা চার ভাগের এক ভাগ!

নেপালের নারী পুরুষেরা উচ্চতা, ওজন আয়তনে কম। কিন্তু এদের হৃদয় অনেক বড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর হুমায়ুন আজাদ মানুষর চরিত্র অর্থনীতি দিয়ে বিচার করতে বলেছেন। সে তুলনায়ও বাংলাদেশের মানুষদের চেয়ে নেপালিরা সৎ। এ দেশে আপনি যত রাতেই ঘরে ফিরুন না কেন, আপনার ছিনতাই, ডাকাতি হওয়ার সম্ভবনা খুব খুবই কম। একটা উদাহারন দেই। আপনি ঢাকাতে রাতে তো দুরের কথা।দিনের বেলায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে উত্তরা থেকে যাত্রাবাড়ী যেতে ভীত সন্ত্রস্ত থাকবেন।

হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭-২০০৪
হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭-২০০৪

কিন্তু নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে গভীর রাত হলেও আপনার ভীত সন্ত্রস্ত হতে হবে না। আর নারীর চলা ফেরার স্বাধীনতার কথা যদি বলি। বাংলাদেশে যার যার এলকাতেও নারীদের চলা ফেরার স্বাধীনতা নেই। তারা কেবল পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি নয়। ইভটিজিং এমন কি ধর্ষনের শিকার হয়। নেপালে একজন নারী বা তরুনী নিজ এলকায় তো এসবের শিকার হবেই না। দেশের অপরিচিত জায়গাতেও একজন নেপালি নারী ও তরুনী অনিরাপদ বোধ করে না।

নেপালী নারীরা ঘার সোজা সীনা টান করে পথ হাটে। ঘাড় সোজা বুক টান করে পথ হাটার স্বাধীনতা বাংলাদেশী নারীদের নেই। সে স্বাধীনতা পরিবার ও সমাজ নারীকে দেয়নি, পায়নি। কল্পনাও করতে পারে না৷ আপনি প্রত্যেক দোকানে নারী দেখতে পাবেন। অলিগলিতে দোকানগুলোতে মদ বিক্রি হচ্ছে, দোকানী নারী। এটা বাংলাদেশে একটি অসম্ভব দৃশ্য! যা আবার নেপালিরা বুঝবেন না। আপনি এক মাস নেপালে বেড়ালে দু একজন হিজাব পরা নারী দেখতে পাবেন। আপনি কোন তরুনী বা নারীকে ইভটিজিং করলে রেহাই পাবেন না। এ বিষয়ে না সমাজ, না রাষ্ট্র, না আইন আপনাকে ছাড় দেবে। নেপালের তরুনী ও নারীরা বাংলাদেশের নারী ত তরুনীদের মত পুরুষ দেখলে ভয় পায় না।

কারন, বাংলাদেশের নারী ও তরুনীদের মত এদের সেই তিক্ত ও ভীতিকর অভিজ্ঞতা নেই। ফিরে আসি অর্থনীতির কথায়। নেপলে, বাংলাদেশের তুলনায় রাজনৈতিক ও আইনশৃংখলার পরিবেশ এত ভালো। তবুও কেন অর্থনৈতিকভাবে এগোতে পারছে না? এ দেশে মৌলবাদীদের দ্বারা সংঘটিত সমস্যার মুখোমুখিও হতে হয় না। দেশটি এ উপমহাদেশর মধ্যে শান্তিপূর্ণ দেশ এবং মানুষরা বন্ধু বৎসল। তবুও কেন অর্থনেতিক ভাবে পিছিয়ে নেপাল? আপনরা বিশ্বাস করুন, এর উত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি না!

দু-একজন উত্তরে যা বলেছে,, তা আমার দৃষ্টিতে সঠিক মনে হয়নি। নেপালের কিছু তরুন, তরুনী, বয়স্ক মানুষ নেপাল পিছিয়ে থাকার প্রথম কথাটি বলেছে। তাদের সরকারগুলো “দূর্নীতিবাজ৷” আমার কাছে কেবল এ অভিযোগটা সত্য মনে হয় নি। কেবল দূর্নীতির জন্যই যদি অর্থনৈতিকভাবে নেপাল পিছিয়ে থাকে। তাহলে বাংলাদেশ আরো পিছিয়ে পরার কথা ছিলো। কারন,আমি হলফ করে বলতে পারি, নেপালের চেয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিক ও সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শতগুন বেশি দূর্নীতিবাজ৷ আমি নেপালের বেশ কয়েকটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি৷ যেখানে দূর্নীতি দেখিনি। আমাদের দেশে ওসব সেক্টর দূর্নীতির আখড়া!

কিছু কিছু নেপালি ২য় অভিযোগটি করেছেন। তা হলো তারা, ভারত ও চায়নার “মন্দ রাজনীতির” কারনে এগোতে পারছে না! আমার চোখে এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি৷ মোটা দাগে নেপালিদের অভিযোগ “নেতাদের দূর্নীতি” ও “বিদেশী শক্তির প্রভাবে” নেপাল এগোতে পারছে না। অভিযোগ দুটি সত্য মানলেও নেপালিদের সামনে সমান সমান সুযোগও আছে অবারিত। অতীতে যা হবার তা তো হয়ে গেছে। বাংলাদেশ,পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপের চেয়ে, নেপালের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যত ভালো বলে মনে করি আমি।

দূর্নীতির কথা যা বলা হচ্ছে, তা চাইলে এ দেশের জনগন কমিয়ে আনতে পারেন। কারন, এটা তাদের হাতেই। চায়না ও ভারতের প্রভাবকে সমস্যা হিসেবে না দেখে সুযোগ হিসেবে নিতে হবে। যেটা আমেরিকা সহ পুঁজিবাদী দেশগুলো করে থাকে। তারা যখন সমস্যাকে সমাধান করতে না পারে। তখন সমস্যাকে সুযোগে পরিণত করে ফেলে। তাদের ফিলোসফি হলো Make the problems opportunities. নেপালের তাই করা উচিত। এবং তা সম্ভবও।

চায়না ও ভারতের দর্শনের সাথে নেপালের বিরোধ নেই। বরং একই। চায়না বুদ্ধের দর্শন মেনে চলে। আর ভারত ও সনাতন ধর্মের মানুষেরা বুদ্ধকে ভীষণ শ্রদ্ধা করে। সবচেয়ে বড় কথা ভারত ও নেপালের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ভালো। তাদের একে অপরের দেশে আসা যাওয়া করতে ভিসা লাগছে না। সরকারী চাকুরি ছাড়া বেসরকারী চাকুরি ও ব্যবসা বানিজ্যও করার অনুৃমতি রয়েছে। সাংস্কৃতিক চরিত্রও প্রায় একই। আমরা নায়িকা মনিষা কৈরালা ও গায়ক উদিত নরায়ন এই দুই কিংবদন্তীকে তো ভারতীয়ই মনে করতাম৷ যদিও তারা নেপালি। এ ছাড়া নেপালি ছাত্র,ব্যবসায়ী ও বিজ্ঞানীদেরও পরিচিতি রয়েছে পৃথিবীতে। তাই “ভারতের প্রভাব” নেপালের জন্য সমস্যা নয় বরং সুযোগ মনে হচ্ছে।

নেপালের সাথে চায়নার সম্পর্কও চমৎকার। তা রাজনৈতিক হোক বা অর্থনৈতিক। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কও রয়েছে। নেপালের পন্য রপ্তানী জন্য চায়না এক বিশাল বাজার। এত কাছে এত বড় বাজার তাও আবার স্থলপথ! জলবন্দর নেই বলে আফসোস করার কিছু নেই। দুই বৃহৎ দেশের সাথে স্থলবন্দর থাকলে সী পোর্টের কি প্রয়োজন আছে? নেপালের মত একটি ছোট্ট দেশের পাশে পৃথিবীর দুই বৃহৎ দেশের সীমন্ত রয়েছে। তারা কেবল আয়তনেই বড় নয়৷ চায়না পরাশক্তি তো বটেই পৃথিবীর অর্থনৈতিক পরাশক্তিও।

অন্যদিকে ভারতও বিশ্বের তিন নম্বর অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিনত হয়েছে। এমন দুই টি দেশ পাশে থাকতে। শান্তি ও স্বস্তির দেশ নেপাল কেন অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকবে? আমি মনে করি না,দূ্নীতি ও দুইটি দেশের প্রভাবে নেপাল পিছিয়ে আছে।আমি নেপালের পরিকল্পনাবীদ ও রাজনীতিকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি। আপনাদের পরিকল্পনার কোথায় না কোথায়ও ত্রুটি আছে। কূটনীতিতে ঘাটতি আছে।

প্রযুক্তিতে দুনিয়া দখল করা দেশ। চায়নার মত একটি দেশের সাথে আপনাদের দেশের সীমান্ত থাকার পরও আপনাদের দেশে কেন শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে না? শিল্পের কাঁচামালও ভারত ও চায়নাতে ভরপুর। নেপাল শিল্পে যন্ত্র ও শিল্পের কাঁচামালের জন্য আর কোথায়ও যেতে হবে না! আপানাদের দরকার শ্রমশক্তি ও বিনিয়োগ। যথেষ্ট শ্রমশক্তিও আপনাদের রয়েছে। রইলো বাকি বিনিয়োগ৷ বিনিয়োন সরকারী বেসরকারী ভাবে করা যেতে পারে। যদি বিনিয়োগে ঘাটতি থাকে। তবে বিদেশী বিনিয়োগ আনা নেপালের জন্য মালদ্বীপ, শ্রীংলকা,পাকিস্তান, বাংলাদেশের চেয়ে সহজ। কারন, নেপাল এই তিন দেশের থেকে রাজনৈতিক ভাবে শান্ত। সাম্প্রদায়িক সমস্যাও নেই। চায়না,ভারত, বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরা আপনাদের দেশে আসার জন্য লাইন ধরে বসে থাকবে।

নেপালের সাথে সার্ক অঞ্চলে কারো সাথে কোন বিরোধ নেই। এটাই নেপালের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা ও শক্তি হতে পারে। কেবল চায়না ও ভারত নয়। বাংলাদেশও, নেপালের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্র হতে পারে। কাঠমন্ডু বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য চমৎকার একটি দেশ হিসেবে পরিনত হতে পারে। বাংলাদেশের উন্নত মানের পাট আমদানি করে নেপাল বন্ধ জুটমিল গুলো চালু করতে পারে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারনি বাংলাদেশের পাটকল মালিকেরা হুমড়ি খেয়ে পরবে নেপালে৷

এছাড়া বাংলাদেশের উন্নত পাট দিয়ে, জুতা, কাপড়,কার্পেট,ব্যাগ,বস্তা,রশি,সুতা জ্যাকেট তৈরী করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারে। তাতে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আসবে তেমনি বেকার সমস্যা দূর হবে। এমন কি, বাংলাদেশ থেকে উন্নত জাতের পাটের বীজ ও মৌসুম দক্ষ ক্ষেত মজুর এনে পাট চাষ করে। উৎপাদিত পাট চায়নাতে রপ্তানী করা যেতে পারে। ভারত ও চায়নার সীমান্ত অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপন করলে। রাজধানী কাঠমান্ডুর উপর মানুষের চাপ কমবে।

এ ছাড়া নেপাল, বাংলাদেশী রোগীদের জন্য মেডিকেল হাব সৃষ্টি করতে পারে। আমি আমার দীর্ঘ ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি। নেপাল কতৃপক্ষ যদি মেডিক্যাল টুরিজমে গুরুত্ব দেয়। তাহলে নেপালের বাজেটের বৃহৎ একটি অংশ এই মেডিকেল সেক্টর থেকে আসবে। শুধু বাংলাদেশী রোগীই নয়, মধ্যপ্রাচ্য থেকেও অনেক রোগী কাঠমুন্ডুতে আসবে চিকিৎসা করাতে। সিঙ্গাপুর,থাইল্যান্ডে ভিসা জটিলতা ছাড়াও থাকা খাওয়া ও চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি তাই বাংলাদেশী ও মধ্যপ্রাচ্যের রোগীরা নেপালে ছুটে আসবে। এ মুহুর্তে ভারতীয় ভিসা বন্ধ। ঢাকা দিল্লির রাজনৈতিক সম্পর্কও তলানীতে। আর বাংলাদেশের রোগীরা বাংলাদেশী ডাক্তার ও ডায়াগনসিসের উপর আস্থা রাখে না।

আমি নেপালের কয়েকটি হসপিটালে ঘুরে দেখেছি। বাংলাদেশের মত নেপালিরা ইচ্ছাকৃত ভুল ডায়াগনসিস করে না। বা অপ্রয়োজনীয় ডায়গনসিস করতে দেয় না। এমনকি নেপালি সরকার হসপিটালের ডাক্তার, রোগীদের তাদের পছন্দের প্রাইভেট হসপিটালে পাঠায় না। হসপিটালে বাংলাদেশের মত দূৃনীতি হয় না৷ বাংলাদেশ থেকে অনেক নেপালি ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেলে পড়া লেখা করে এসেছেন৷ তাদেরকে মেডিকেল টুরিজমে যুক্ত করলে নেপাল সরকার অনেক আয় করতে পারবে। ভালো ওষুধ ডায়াগনসিসে গুরুত্ব দিলে। নেপালেরা ডাক্তার নার্স এবং হসপিটালপর স্টাফদের আচরণ পুরোপুরি রোগী বান্ধব। যা বাংলাদশে অপ্রতুল। নেপাল এ সুযোগটা নিতে পারে।

গৌতম বুদ্ধের নেপাল শান্তির দেশ। নিরাপদ দেশ। যা অন্য অনেক দেশে নেই, সমৃদ্ধি থাকার পরও। কেবল এই দুটি কারনেই নেপালের সমৃদ্ধি আসার কথা। কিন্তু আসছে না৷ কেন? কারন,সঠিক পরিকল্পনা ও নিজেদেরই আস্থার অভাব৷ নেপালে শ্রমশক্তি,প্রকৃতিক সম্পদেরও অভাব নেই। আবহাওয়াও জলবায়ু বসবাসের জন্য উপযোগী। বিদ্যুৎও আছে। নেপাল বরং বিদ্যুৎ রপ্তানীকারক দেশ। তাহলে কেন নেপাল পিছিয়ে থাকবে! আমার মনে হয় ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করলেই নেপাল একটি উন্নত ধনী রাষ্ট্রে পরিনত হবে। সভ্যতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই।

নেপালের সভ্যতা, সংস্কৃতি তো প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। আমি নেপাল ঘুরে দেখেছি। বিদেশী বিনিয়োগের জন্য নেপাল একটি উত্তম স্থান। শুধু সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার প্রয়োজন। সরকারের বিনিয়োগ ও ট্যাক্সনীতির পরিবর্তন আনতে হবে কিছুটা। এ বিষয়ে মালয়শিয়াকে উদাহারন হিসেবে নিতে পারে নেপাল সরকার। মালশিয়াতে বিদেশী বিনিয়োগের পদ্ধতি আলোচনা গবেষনা করে সে পথে হাটতে পারে। আমি বিশ্বাস করি নেপাল একদিন ধনী দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ ,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপকে ছাড়িয়ে অনেক এগিয়ে যাবে। নেপালে সে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিদ্যমান।

 

এই ক্যাটাগরির আরো ব্লগপোস্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন…..

 

 

 


Spread the love
Tags :

Grid News

Latest Post

Find Us on Youtube